স্বদেশ ডেস্ক:
সিকদার গ্রুপের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সম্পর্ক আছে এবং তাদের সহায়তায়ই হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা হওয়ার পরও সিকদার ভাইয়েরা দেশ ছাড়তে পেরেছেন বলে মনে করেন বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা৷
ডয়চে ভেলে বাংলার ইউটিউব টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’-এ ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেনন, ‘‘অবশ্যই ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সিকদার গ্রুপের সম্পর্ক আছে৷ আওয়ামী লীগের সহায়তা না পেলে সিকদার ভাইয়েরা দেশ ছাড়তে পারতেন না৷ এই করোনাকালে যখন সব বন্ধ, এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাওয়া যাচ্ছে না, সেখানে কীভাবে তারা বিমানবন্দর ব্যবহার করে এক দেশ থেকে আরেক দেশে উড়ে চলে গেলেন?’’
বাংলাদেশের প্রভাবশালী ও ধনী শিল্পগোষ্ঠীর অন্যতম সিকদার গ্রুপ৷ পাঁচ শ’ কোটি টাকার ঋণ প্রস্তাব নিয়ে মতবিরোধের জেরে এক্সিম ব্যাংকের দুই পরিচালককে গুলি করে হত্যার চেষ্টা এবং নির্যাতনের অভিযোগে সিকদার গ্রুপের পরিচালক রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে গত ১৯ মে গুলশান থানায় মামলা হয়৷ পুলিশ দুই ভাইকে খুঁজছে বলে জানিয়েছিল৷
এই নিয়ে হইচইয়ের মধ্যেই গত ২৫ মে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে রন ও দিপুর ব্যাংকক যাওয়ার খবর ডয়চে ভেলেকে নিশ্চিত করেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান৷
করোনা সংকটে গণপরিবহন ও বিমান চলাচল যেখানে সম্পূর্ণ বন্ধ সেখানে হত্যা চেষ্টার মামলা থাকার পরও কোন ক্ষমতার জোরে তারা দেশ ছাড়তে সক্ষম হলেন সেটা নিয়ে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ কেউ কেউ সরকার সংশ্লিষ্টতার কথাও বলছেন, ভিন্নমতও আছে৷
এ বিষয়ে ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’-এর আরেক বক্তা এবি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর প্রধান সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায় বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক সংগঠন৷ সাত দশকের পথ চলায় দলটিকে অনেক লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠতে হয়েছে৷ এই সময়ে স্বাভাবিকভাবেই দলে নানা শ্রেণির মানুষের প্রবেশ ঘটেছে৷ অনেক আগাছাও এ সুযোগে দলে প্রবেশ করেছে৷
‘‘এটা ঠিক, ব্যক্তিগতভাবে সিকদার গ্রুপের যিনি মূল মালিক উনার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক ছিল৷ বড় শিল্পগ্রুপ হওয়ায় বাংলাদেশের অর্থনীতি ও নানা ব্যবস্থাপনায় তাদের অবদানও আছে৷ কিন্তু তার দুই পুত্র কী করেছেন, তাদের ব্যাংক কী করেছে সেটা অনেক গভীর আলোচনার বিষয়৷ পুত্রের দায় পিতার উপর বা পরিবারের উপর চাপানো কি ঠিক হবে?”
এই আলোচনায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, ইউনাইটেড হাসপাতালের চরম অবহেলায় তাদের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে অগ্নিকাণ্ড এবং বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে নানা কথা উঠে আসে৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে